লঞ্চে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও ৯ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মাত্র ৪৫ মিনিটের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. হাবিব খান (৪৫) নামের একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে।

হাবিব খানের সঙ্গে ভর্তি হওয়া অন্য আটজন হলেন- লামিয়া (১৩), মমতাজ (৭০), মো. রাসেল (৩৮), বঙ্কিম মজুমদার (৬০), মনিকা রানী (৪০), গোলাম রাব্বী (২০), বিকাশ মজুমদার (১৬) ও খাদিজা (২৭)।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মারুফা (৩৮) ও সেলিম রেজা (৪৫) নামের দগ্ধ দুইজনকে লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনে র‍্যাব। তাদের ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার আগে, আরও পাঁচজনকে এই হাসপাতালে আনা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, হাবিব খানের বাড়ি বরগুনা সদরের তেতুলবাড়ীয়া গ্রামে। তার বাবার নাম বেলায়েত হোসেন।

তিনি জানান, ভর্তি হওয়াদের মধ্যে লামিয়ার শরীরের ১০ শতাংশ, মমতাজের ৮ শতাংশ, রাসেলের ১৮, বঙ্কিম মজুমদারের ১২, মনিকা রানীর ৩০, গোলাম রাব্বীর ৯ এবং খাদিজার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

বিকাশ মজুমদারের শরীরের কত ভাগ দগ্ধ তা এই প্রতিবেদন লেখার সময় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. আইউব।

উল্লেখ্য, সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বরিশাল ও ঝালকাঠির দুই হাসপাতালে শতাধিক দগ্ধ চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃদ্ধ, শিশুসহ অনেকে নিখোঁজ। লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.