‘ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে বিএনপি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রপতির শুভ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন।

তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতির এই শুভ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে চিরাচরিতভাবে বিষোদগার করে চলেছেন।’

সেতুমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।

‘নির্বাচনের সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে সে নির্বাচন কোনও দিন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সকলেই জানি, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত থাকে এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করে মাত্র।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা দিবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা নিরপেক্ষতার কথা বলছেন, কিন্তু তাদের দৃষ্টিতে নিরপেক্ষতার মানদণ্ড কী? তার প্রমাণ তারা ক্ষমতায় থেকে বারংবার দেখিয়েছে। বিএনপি নেত্রী এক সময় বলেছিল, ‘দেশে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়!’ দেশবাসী জানেন, যতক্ষণ বিএনপি’র ক্ষমতা দখলের পথ নিরাপদ না হবে ততক্ষণ তাদের নিরপেক্ষতার মানদণ্ড নিশ্চিত হবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের যে কোনও উপায়ে নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা এবং পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারার মানসিকতাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান অন্তরায়।’

তিনি বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি’র রাজনীতি ক্ষমতা দখলের রাজনীতি—ক্ষমতার প্রশ্নে তাদের কাছে স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্র সবই সমান। ষড়যন্ত্রের মন্ত্র ও ক্ষমতার তন্ত্রে বিভোর বিএনপির এ দেশের গণতন্ত্র, জনমত, নির্বাচন এবং রাজনীতির অর্থবহ ও কল্যাণকর কোনও পন্থাতে আস্থা নেই, কখনোই ছিলও না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত জনগণের মতামতের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস।’

দেশের চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের মতামত প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনি ব্যবস্থাকে অধিকতর গণতান্ত্রিক ও আধুনিক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আশা করি, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক ক্ষণে গৌরবোজ্জ্বল সময়ে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে চলমান সংলাপে দেশে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে।’ বাসস

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.