চিলির প্রেসিডেন্ট তরুণ বরিস

গাব্রিয়েল বরিস। ৩৫ বছরের এই তরুণ বামপন্থি নেতাই এখন চিলির স্বপ্ন। সাম্প্রতিক নির্বাচনে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট দিয়ে চিলির জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আগামী মার্চ মাসে দেশের দায়িত্ব নেবেন বরিস।

তবে যাত্রা সহজ ছিল না। তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন শক্তিশালী প্রার্থী ৫৫ বছরের অতি দক্ষিণপন্থি নেতা হোসে আন্তোনিও কাস্ত। ক্যাথলিক এই নেতা নয় সন্তানের বাবা। তার ভাই চিলির একনায়ক অগাস্তো পিনোশেটের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। কাস্তও তার নির্বাচনী প্রচারে পিনোশেটের গুণগান করেছেন। পিনোশেটের একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন করেছেন কাস্ত।

চিলির সংবাদমাধ্যমের দাবি, কাস্তের জার্মান বাবা নাৎসি ছিলেন। অন্যদিকে ৩৫ বছরের বামপন্থি ছাত্রনেতা সরকারবিরোধী আন্দোলন করেই আলোকবৃত্তে উঠে এসেছেন। একনায়কতন্ত্রের ঘোর বিরোধী এই নেতা জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তিনি চিলির একাধিক প্রশাসনিক বিষয়ের সংস্কার করবেন। বদলাবেন কর ব্যবস্থা। ধনী ব্যক্তিদের উপর অতিরিক্ত কর চাপিয়ে সাধারণ মানুষের উপর থেকে করের চাপ কমাবেন।

ফলাফল ঘোষণার পরে কাস্ত টুইট করে জানিয়েছেন, ‘বরিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। নিজের হার স্বীকার করছি। আশা করি দেশের জন্য ভালো কাজ করবেন বরিস।’

বরিসও টুইট করে সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি আমি তাদের সকলের প্রেসিডেন্ট হতে চাই। সকলে মিলেই এক শক্তিশালী চিলি গড়ে উঠবে।’

চিলির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন এবং বরিসের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।

বরিস যে জিততে চলেছেন, তা অবশ্য আগেই অনুমান করা গেছিল। প্রায় প্রতিটি সংবাদসংস্থার ভোট সমীক্ষাতেই এগিয়ে ছিলেন বরিস। তবে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি ক্ষমতায় আসবেন, এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, এপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.