শীতে বারবার গলা শুকিয়ে যায় যে কারণে

সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর-সর্দি-কাশিতে সবাই কমবেশি ভোগেন শিতের এই সময়। একই সঙ্গে গলা ব্যথা, টনসিলের সমস্যাসহ মুখে ঘা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এ সময় সাধারণত গলায় খুসখুসে ভাব হয়ে থাকে। বুকে কফ জমে যাওয়ায় গলায় অস্বস্তি বোধ হয়।

আসলে শীতকালে মুখের নীচে যে ফ্যারিঙ্গস থাকে, তা শুকিয়ে যায়। পানি খেলেও গলায় শুকনো-শুকনো ভাব থাকে। তবে শীতকালে এমন প্রবণতা সবার ক্ষেত্রেই দেখা দেয়। তবে এটি মোটেও ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আবার দীর্ঘদিন এমনটি হলে চিকিৎসা না করালে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শীতকালে কেন গলা শুকিয়ে যায় ও কীভাবে এর চিকিৎসা করা সম্ভব-

>> শীতে পানি খাওয়ার প্রবণতা সবকার মধ্যেই কম দেখা দেয়। আর শরীরে পানির অভাব হলে লালা উৎপন্ন হতে পারে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইভা না থাকলে মুখ শুকিয়ে যায় বারবার। এই স্যালাইভাই মুখ ও গলা ভিজিয়ে রাখে।

>> সর্দির সমস্যায় কিংবা নাক বন্ধ হয়ে থাকলে অনেকেই মুখ খুলে ঘুমান। রাতে মুখ খুলে ঘুমালে সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ শুকনো লাগতে পারে। মুখ খুলে ঘুমানোর ফলে স্যালাইভা শুকিয়ে যায়।

>> আবহাওয়ায় উপস্থিত অক্ষতিকর পদার্থের প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকলে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এর ফলেও গলা শুকিয়ে যেতে পারে।

>> বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে সর্দি হতে পারে। এই ইনফেকশনের কারণে গলা শুকিয়ে যায় ও খুসখুসে ভাব হয়ে থাকে। একই সঙ্গে কাশি ও গলা ব্যথাও থাকতে পারে।

>> শীতে ফ্লুর সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। সর্দির মতোই ভাইরাসের কারণে ফ্লু হয়ে থাকে। তবে সর্দির লক্ষণের চেয়েও বেশি গুরুতর হতে পারে ফ্লু।

>> ব্যাকটেরিয়ার কারণে স্ট্রেপ থ্রোট হয়। এর ফলে গলা ব্যথা হলেও মুখ শুকিয়ে আসতে পারে।

 

কোন উপায়ে শুকনো গলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?

>> গলা শুকিয়ে গেলে সর্বপ্রথম শরীরকে হাইড্রেট রাখুন। পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে বেশি করে পানি পান করুন। পুরুষরা দিনে সাড়ে ১৫ কাপ পানি পান করবেন। আর নারীদের সাড়ে ১১ কাপ পানি পান করা উচিত।

এ ছাড়াও ফল, সবজি ও অন্যান্য খাবার থেকে ২০ শতাংশ জল পাওয়া যায়। স্পোর্টস ড্রিঙ্কস, সোডা, ক্যাফেইন যত সম্ভব কম পান করুন। কারণ এগুলো শরীর থেকে অধিক পরিমাণে জল নির্গত করে দেয়।

>> মুখ খুলে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে মুখ ঢেকে ঘুমান। এতে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

>> বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া বা গিলতে কষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে অ্যালার্জি বা হে ফিভার। এমনকি হলে ঘরেই থাকুন। শীতে এসি ব্যবহার করবেন না।

 

প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার ধুয়ে নিন। আবার ঘর ধুলাবালিমুক্ত রাখুন। কার্পেট ইত্যাদি ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

>> সর্দি বা ফ্লু’র কারণে গলা শুকিয়ে গেলে তা সারিয়ে তুলুন। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, ভাইরাস নয়।

>> এ ছাড়াও গরম স্যুপ ও পানি পান করুন। আবার লবণ পানি দিয়ে গার্গেলও করতে পারেন। সম্ভব হলে বাড়িতে একটি হিউমিডিফায়ার রাখুন। এর ফলে ঘরের আবহাওয়ায় আর্দ্রতা

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.