‘ওমিক্রন ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করলো যুক্তরাজ্য

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা জানান। খবর- বিবিসির

বরিস জনসন বলেন, ‘কারোরই কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, ওমিক্রনের জোরালো ঢেউ আসছে।’ দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে এই মাসের মধ্যে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বুস্টার ডোজ প্রয়োগে জোর দিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্য কয়েকটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাজ্যের করোনা সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল চার করা হয়। নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এই সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ দেশটিতে এই মাত্রার সতর্কতা ছিলো চলতি বছরের মে মাসে।

বরিস জনসন বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এটা স্পষ্ট যে, দুই ডোজ টিকা সাধারণভাবে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার সুরক্ষা নিশ্চিতে যথেষ্ট নয়। তবে আশার খবর এই যে আমাদের বিজ্ঞানীরা তৃতীয় আরেকটি বা একটি বুস্টার ডোজের মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা আনার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে এটা বলতে পারেননি যে ওমিক্রন করোনার অন্য ধরনের চেয়ে কম ক্ষতিকর।’

বুস্টার ডোজ প্রয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা ব্রিটিশ সরকার নির্ধারণ করেছে তাতে যুক্তরাজ্যের ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার তিন মাস পার হলে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।

ওমিক্রন মোকাবেলায় ব্রিটিশ সরকারের যেসব পরিকল্পনা বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন সেগেুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার জন্য সামরিক বাহিনীর ৪২টি টিম মোতায়েন করা, ভ্যাকসিন প্রয়োগের বাড়তি কেন্দ্র স্থাপন করা, টিকা কেন্দ্র খোলা রাখার সময় আগের চেয়ে বাড়ানো, হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রমুখ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.