আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী

আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এই মামলায় ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে যে দেশে আইনের শাসন আছে। এখন এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কোন অপরাধী ঘুরে বেড়াতে পারবে না। তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার ‘অডাসিটি’ দেখাতে পারবে না।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, এই রায়ের নথিপত্র আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে চলে যাবে। সেখানে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। সমাজে কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড আছে যা সমাজকে নাড়া দেয়, সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা না হলে সমাজে হতাশা দেখা দেয়। সরকারের দায়িত্ব এই মামলাগুলো ত্বরিত বিচার করে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা যে দেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তিকৃত হয়ে থাকে, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার কোনও ‘স্কোপ’ নেই। তার এই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক।

বিএনপি’র ১৫ জন আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোনও আদালতের কোনও নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন, এখনও তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছু দিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।

পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার কর্মকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। শুধু সংসদ সদস্য নয়, কোনও বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারেন না।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.