বাংলাদেশের লজ্জার হার

সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তার পরও ঢাকা টেস্টে হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টাইগারদের ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। একপ্রান্ত আগলে রেখে সাকিব খেলেছেন ১৩০ বলে ৬৩ রানের ইনিংস।

এদিন ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেখান থেকে ১১ রান তুলতেই বাকি তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সাকিব ৩৩ ও তাইজুল ইসলাম কোনো রান করার আগেই আউট হন।

কোনো রান তুলতে পারেননি খালেদ আহমেদও। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে ৮ উইকেট নেন সাজিদ খান। এরপর ফলোঅনে পড়ায় আবারও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুর তিন ওভার দেখে শুনে খেললেও হাসান আলীর বলে স্টাম্প ভাঙে মাহমুদুল হাসান জয়ের।

অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০ রান করা এই ওপেনার এই ইনিংসে করেন ৬ রান। এরপরের ওভারে শাহীন আফ্রিদির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন সাদমান ইসলাম। ২ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনারও। খানিক পর দলীয় ১৯ রানে মুমিনুল হককে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন হাসান।

৭ রানে অধিনায়ক ফেরার পর স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ রান করে ফেরা এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশকে লাঞ্চের আগে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুজন। হাফ সেঞ্চুরির জুটিও গড়েন তারা। তবে দলীয় ১০০’র আগে ৪৫ রানে লিটনকে বিদায় করেন নওমান আলী। মুশফিককে সঙ্গ দিতে আসেন সাকিব। এই জুটিতে দলীয় ১০০ পার করার সঙ্গে রান বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ। দেখে শুনে খেলে হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন মুশফিক। কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগে রান আউটের ফাঁদে পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৪৮ রানে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন তিনি।

বিরতির পর ব্যাটিং করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ইনিংস পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষার কাজটা করতে থাকেন তিনি। তাদের দুজনের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন বাবর আজম। মিরাজকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। খানিক পর বোলিংয়ে এসে সাকিবকে ৬৩ রানে বোল্ড করেন সাজিদ। যা এই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে তার ১০ নম্বর উইকেট। এরপর খালেদ আহমেদ কোনো রান না করেই সাজিদের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তাইজুল ইসলাম শেষ দিনে ৫ রান করে সাজিদের বলে এলবিডব্লিউ হলে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.