৬ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হত মাত্র ১০০ রান। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এই সামান্য রানও মনে হল পাহাড়সম। কিন্তু সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ৮৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১৪৭ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশে আরও করতে হবে ৬৬ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুর তিন ওভার দেখে শুনে খেললেও হাসান আলীর বলে স্টাম্প ভাঙে মাহমুদুল হাসান জয়ের। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০ রান করা এই ওপেনার এই ইনিংসে করেন ৬ রান। এরপরের ওভারে শাহীন আফ্রিদির বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন সাদমান ইসলাম।

২ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনারও। খানিক পর দলীয় ১৯ রানে মুমিনুল হককে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন হাসান। ৭ রানে অধিনায়ক ফেরার পর স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

৬ রান করে ফেরা এই ব্যাটসম্যানের জায়গায় নেমেছেন লিটন দাস, সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিম। তবে এই দুজনের ওপর ভর করে আর কোন উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুজন। হাফ সেঞ্চুরির জুটিও গড়েন তারা। তবে দলীয় ১০০’র আগে ৪৫ রানে লিটনকে বিদায় করেন নওমান আলী। মুশফিককে সঙ্গ দিতে আসেন সাকিব।

এই জুটিতে দলীয় ১০০ পার করার সঙ্গে রান বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ। দেখে শুনে খেলে হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন মুশফিক। কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগে রান আউটের ফাঁদে পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৪৮ রানে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন তিনি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.