আট দিনব্যাপী এসএমই মেলা শুরু

নবমবারের মতো শুরু হলো জাতীয় এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা) মেলা। শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি পন্য নিয়েই এবারের এসএমই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই মেলার উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণই এবারের মেলার মূল উদ্দেশ্য। এই মেলা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার আয়োজন করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

এসএমই কর্তৃপক্ষ জানায়, শতভাগ দেশি পণ্যের এই মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫টি স্টল রয়েছে। এছাড়া মেলায় দর্শনার্থীদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও কর্মসূচি তুলে ধরতে ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট, মিডিয়া সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র, ক্রেতা-বিক্রেতা মিটিং বুথ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, যেমন-বিটাক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিসিক, বিএসইসি, জেডিপিসি, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্লাটিনাম স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক, গোল্ডেন স্পন্সর লংকা বাংলা, সিলভার স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া ও ইস্টার্ন ব্যাংক, কো-স্পন্সর জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের স্টল রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ অনুযায়ী উচ্চ অগ্রাধিকার, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী শিল্প, আইসিটি, সফটওয়্যার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারুশিল্প, জুয়েলারি (কৃত্রিম), খেলনা ও আগর শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানকে মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

দেশিয় উৎপাদনকারী অথবা সেবামূলক মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই শুধু মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রয়ের সুযোগ পেয়েছে। বিদেশি, আমদানি করা পণ্য মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা যাবে না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।

এবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ। মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১১৬টি প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৭টি, খাদ্য বা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য খাতের ৩৬টি, হ্যান্ডিক্রাফটস আইটেম ৩৩টি, পাটজাত পণ্য খাতের ২৯টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য খাতের প্রতিষ্ঠান ১৭টি, আইটি খাতের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৬টি, হারবাল, অর্গানিক পণ্যের ৪টি, জুয়েলারি পণ্যের ৪টি এবং প্লস্টিক পণ্য খাতের ৩টি প্রতিষ্ঠান এবার মেলায় অংশ নিচ্ছে

অর্থসূচক/মৃত্তিকা সাহ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.