নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু-নেতাজি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শুধু বাঙালির নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর এবং তারা সমানভাবে পূজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘নেতাজি-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা’, এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে নেতাজি-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি, বাংলাদেশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সংগ্রামী জীবনাদর্শের যে বিস্তর সাদৃশ্য আমরা দেখতে পাই, তা ইতিহাসে বিরল। সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু কলকাতায় নেতাজির জন্মোৎসবে যে বাণী পাঠিয়েছিলেন, তাতে তিনি এই মহান নেতাকে “প্রদীপ্ত ভাস্কর” হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে বসে যে আত্মজীবনী লিখেছেন, সেখানে একাধিক স্থানে নেতাজির প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা অর্পণ করেছেন। সেখান থেকে আমরা জানতে পারছি, আমাদের মুক্তির সংগ্রামেও তাঁর আদর্শ কতখানি প্রেরণা লাভ করেছিল।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তাঁর অনুসৃত পথে সমৃদ্ধ ও প্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন; সেখানেও নেতাজির আদর্শ আমাদের পাথেয়। বিশেষ করে নেতাজির অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শ আমাদের নিরন্তর পথ দেখিয়ে চলেছে। তিনি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষের নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের যে ভারত অভিযান পরিচালিত করেছিলেন, তা সব যুগের এক বিরল দৃষ্টান্ত।’

‘বাংলাদেশ ও ভারতের তরুণ প্রজন্ম নেতাজি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যুগপৎ চর্চাকে বেগবান করতে “নেতাজি-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা” শীর্ষক যে মহতি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তা নিঃসন্দেহে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে আগামীর কাছে নিয়ে যাওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই দুই কিংবদন্তির জন্মোৎসব দু’দেশেই বছরজুড়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে; এটি বড়ই আনন্দের কথা। আমি এই প্রচেষ্টার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। নেতাজি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চায় এই অঞ্চলের সর্বাঙ্গীন মুক্তি রচিত হোক এই কামনা করছি,’—বলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, ভারতের বিশিষ্ট গবেষক ও নেতাজি বিশেষজ্ঞ ড. জয়ন্ত চৌধুরী, দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত আছেন খ্যাতিমান বক্তা, নেতাজি গবেষক ও ভারতের সমর বিশেষজ্ঞ জেনারেল (অব.) জি ডি বকশী ও নেতাজি-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.