৮ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ

২০২ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জিততে হলে শেষ দিন প্রয়োজন ছিলো ৯৩ রান। আবিদ আলী অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে আর আব্দুল্লাহ শফিক ৫৩ রানে। তবে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারাতে পারেনি সফরকারীরা। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে উল্টো তারা হারিয়েছে দুই ওপেনারকে। ১৭১ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকি কাজ সারেন আজহার আলি এবং বাবর আজম। তাতেই ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন শফিক। ভাঙ্গে তার এবং আবিদের ১৫১ রানে জুটি। শফিক আউট হয়েছেন ৭৩ রান করে। এরপর আবারো দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে দেখে শুনে খেলছিলেন আবিদ এবং আজহার আলি। কিন্তু তাইজুল ইসলামের বল খেলতে গিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা আবিদ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

৯১ রান করে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়ার রেকর্ড গড়া হলো না তার। এরপর আজহার এবং বাবর দুজনই দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। আজহার অপরাজিত ছিলেন ২৪ রানে আর বাবর ১৩ রানে।

চট্টগ্রাম টেস্টে অবশ্য চাইলেই ভালো কিছু করতে পারত বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে লিটন দাসের সেঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে স্বাগতিকরা করেছিল ৩৩০ রান।

জবাবে পাকিস্তান ২৮৬ রান অলআউট হওয়ায় বাংলাদেশ পেয়েছিল ৪৪ রানের লিড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ১৫৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ২০২০ রানের লক্ষ্য দাড়ায় পাকিস্তানের। সেই লক্ষ্যই সফরকারীরা পেরিয়ে গেলো ২ উইকেট হারিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.