দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। নতুন এই ধরনটি বারবার জিনগত রূপ বদলাতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ফলে এই ধরনের কারণে করোনাভাইরাস নতুন করে বিস্তার ঘটতে পারে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। খবর আল-জাজিরার।

দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) ২২ জনের শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিকভাবে এটির বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে বি.১.১.৫২৯। এটি দ্রুত রূপান্তর ঘটিয়ে বিস্তার ঘটাতে সক্ষম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানান।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়ে ফাহলা বলেন, এটি খুবই উদ্বেগের একটি বিষয়। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ভাইরাসটির নতুন ধরনের কারণে তা বিপদ আরও বাড়াতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরোলজিস্ট তুলিও দে অলিভেইরা স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা করোনার নতুন একটি ধরন খুঁজে পেয়েছি। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য উদ্বেগজনক। এর ফলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে।

তিনি এই নতুন ধরনের ভয়াবহতা তুলে ধরে আরও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বতসোয়ানা ও হংকংয়ে যাওয়া মানুষদের মধ্যেও এটি শনাক্ত করা গেছে।

এদিকে বুধবার একদিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২শ ছাড়িয়েছে। এই নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার আগেই দেশটির কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছিল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি করোনার চতুর্থ ধাপ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮৯ হাজার ৬৫৭ জন।

এদিকে, করোনার নতুন এই ধরন বিস্তারের ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনার এ ধরন কী পরিমাণ বিপদজ্জনক তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে শুক্রবার বৈঠক করার কথা রয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.