বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মাস্তানদের আগাম গ্রেফতারের নির্দেশ সিইসি’র

নির্বাচনের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, এমন সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। তিনি বলেন, ‘এলাকার মাস্তান যারা বিশৃঙ্খলা করতে পারে, তাদের আগাম গ্রেফতারের জন্য ইন্সট্রাকশন দিয়েছি।’

বুধবার (২৪ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনগুলোতে সহিংসতা রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, এ লক্ষ্যে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই আচরণবিধি অনুসরণ করেন। দু’চার জন মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছে। তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্য।

তিনি জানান, প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অতীতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামীতেও প্রয়োজনে মামলা করা হবে।

প্রথম দুই ধাপের ভোটে সহিংসতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো নির্বাচনি সহিংসতা রোধ করার জন্যে। একটাও সহিংস ঘটনা হবে না, মারামারি হবে না—এমন নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করবো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।’

পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিয়ে সহিংসতা বন্ধ করা অসম্ভব। এ বিষয়টি আবারও স্মরণ করে সিইসি নির্বাচনি পরিবেশ ভালো রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সিইসি জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা ঘটতে পারে, এমন পকেটগুলো চিহ্নিত করে আগাম গোয়েন্দা তথ্য নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়ানা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.