বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেয়া ১০৯ রানের ছোটো লক্ষ্য ওভারেই পেরিয়ে গেছে সফরকারীরা।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ফখর জামান। ১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম। মুস্তাফিজুর রহমানের লেংথ বলে বোল্ড হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১ রান।

এরপর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা দারুণ বোলিং করলেও তাঁদেরকে বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন তাঁরা দুজন। সেই জুটি অবশ্য ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ফিল্ডার সাইফ হাসান। ইনিংসের ১২তম ওভারে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে স্লগ সুইপ করেছিলেন ফখর। মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা সাইফ অবশ্য সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। তাতে ফখর-রিজওয়ানের জুটি ভাঙার সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেনি।

অবশ্য দারুণ খেলতে থাকা রিজওয়ান পয়েন্টে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে। বাকি সময়টা দেখে শুনে পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌছে দিয়েছেন ফখর ও হায়দার আলী।

এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও নাইম শেখ। ইনিংসের প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদির ফুলার সাইডের বলে পরাস্ত হয়েছেন সাইফ। শুরুতে আবেদন করলেও সেটিতে সায় দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে কোনো রান করতে না পারা সাইফকে ফেরান শাহিন।

পরের ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে উইকেট দিয়ে এসেছেন নাইম। ডানহাতি এই পেসারের আউটসাইড অফের লেংথ বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ১ রান করা নাইম এদিন ফিরেছেন ২ রান করা। এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন আফিফ ও শান্ত।

শাহিন আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন আফিফ। পাওয়ার প্লের বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলেন এই দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৬ রান করে বাংলাদেশ। তবে থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। শাদাব খানের বলে আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার করেছেন ২১ বলে ২০ রান।

প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। হারিস রউফের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে চিকি শট খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এক চারের সাহায্যে ১৫ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। এদিকে ১০ রানের আক্ষেপে ফিরতে হয়েছে দলের বিপর্যয়ের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা শান্তকে।

শাদাবের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৪ বলে ৪০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৮ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজকে উইকেট দিয়ে এসেছেন শেখ মেহেদি হাসান। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ১০ রান করে ফিরলে বাংলাদেশ থামে ১০৮ রানে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.