ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে রেস্তোরাঁ খাতে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আমলারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন। সরকারি সাতটি সংস্থা এ সকল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ওসমান গণিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান হাসান বলেন, সারা দেশে চার লাখ রেস্তোরাঁ রয়েছে। এখানে ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। কিন্তু রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেওয়ায় এ খাত চরম অবহেলিত।
তিনি আরও বলেন, রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনার জন্য ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এতে নতুন লাইসেন্স কিংবা নবায়ন করতে গিয়ে উদ্যোক্তাদের হয়রানি হতে হয়। এত সংস্থায় না গিয়ে ওয়ান–স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে একটি সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইএফডি মেশিন সবাইকে দিতে হবে। তবে ইএফডি মেশিন যেহেতু সরকার রাজস্ব আহরণে ব্যবহার করবে, তাই এর জন্য কোনো ফি না নেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ারও দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.