বিআরটিএ’র সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠক চলছে

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।

রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা জানান, জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে তিন দিন ধরে ধর্মঘট চলছে। তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। আর যদি এই বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে বিআরটিএকে বাস ভাড়া বাড়াতে হবে। আশা করি বিআরটিএ ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখবে। অন্যথায় তাদের ধর্মঘট চলবে।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে গণপরিবহন চলছে না। সকাল থেকে কর্মজীবী মানুষ পায়ে হেঁটে এবং কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা-অটোরিকশায় কর্মস্থলে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে রিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত ভাড়ায় নাজেহাল যাত্রীরা।

গত শুক্রবার থেকে দেশের সবধরনের বেসরকারি উদ্যোগের সড়ক পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ চলাচলও। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ একযোগে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

গত বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। ৬৫ টাকার জ্বালানি তেল এখন ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় সরকার বাধ্য হয়ে তা বাড়িয়েছে। এছাড়া ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও সমন্বয় করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এবং ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ এই ধর্মঘটে সায় দিয়েছে। এছাড়া ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে সারাদেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীসাধারণ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.