রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য কোটি টাকা চেয়ে রিট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডসের জুস ফ্যাক্টরিতে আগুনে পুড়ে হতাহতের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৭ নভেম্বর) রিটের বিষয়টি জানান ব্লাস্ট্রের আইনজীবী ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমরা রিট করেছি। আজকে শুনানির জন্য তালিকায় আছে। এই রিটের মূল বিষয় হচ্ছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি নিহত ও আহত শ্রমিকদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে। তাদের দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছি।

চারটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়। সংগঠনগুলো হলো- আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি।

গত ৮ জুলাই বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের জুসের কারখানায় ভয়াবহ আগুন আগে। সেখান থেকে ৫২ জন শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হন আরও কমপক্ষে ২৫ জন শ্রমিক। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক (সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক) আবুল হাসেম, তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ ও প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.