এবার ধর্মঘটে লঞ্চ মালিকরা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। গতকাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে ভেঙে পড়েছে পরিবহন ব্যবস্থা, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাতে যুক্ত হচ্ছে নৌপথও। শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকালের দিকে রাজধানীর সদরঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দূরপাল্লার সবধরনের লঞ্চ।

একাধিক লঞ্চ মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আজ শনিবার থেকেই লঞ্চ বন্ধ রাখছেন।

এ বিষয়ে জানতে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদের (বীর বিক্রম) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাংগঠনিকভাবে আমরা এখনও ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ চালাবে না বলে জানিয়েছেন। তাই তারা তাদের লঞ্চ সরিয়ে নিচ্ছেন।

কেন সরিয়ে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেলের দাম বেড়ে গেছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, একারণেই লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আনুষ্ঠানিক ধর্মঘটের ঘোষণা না দিলেও জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযানের ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল লঞ্চ মালিক সমিতি। আজ শনিবার দুপুরের মধ্যে ভাড়া সমন্বয় না করলে বিকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছিলেন মালিকরা। কিন্তু দুপুরের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না আসায় অঘোষিত ধর্মঘটে যাচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.