৪ মন্ত্রীকে মুক্ত দিলেন সুদানের সেনাপ্রধান

সুদানে সেনা ক্ষমতাদখল করার পরেই জতিসংঘ ও আমেরিকা সমানে চাপ দিচ্ছে। সেনাশাসন নয়, আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাতে সুদান ফেরে, চাপ সেজন্যই। সেই চাপে কিছুটা কাজ হলো। আটক চার মন্ত্রীকে ছাড়ার নির্দেশ দিলেন সেনাপ্রধান। আল-বুরহান জানিয়েছেন, নতুন সরকারের দায়িত্বভার নেয়া সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এই নতুন সরকার নিয়ে তিনি কী ভাবছেন তা জানাননি সেনাপ্রধান।

সুদান টিভি জানিয়েছে, টেলি-যোগাযোগমন্ত্রী হাসেম হাসালবালরাসোল, বাণিজ্যমন্ত্রী আলি গেড্ডো, তথ্যমন্ত্রী হামজা বালউল, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ইউসুফ অ্যাডমকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

আর-বুরহানের মিডিয়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ‘আমরা জতীয় স্বার্থে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব উদ্যোগকেই খতিয়ে দেখছি।’

এর আগে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছিলেন, সুদানের উচিত গণতান্ত্রিক পথেই চলা।

গত ২৫ অক্টোবর আল-বুরহান ক্ষমতা দখল করেন, সরকার ভেঙে দেন, জরুরি অবস্থা জারি করেন।পরে তিনি আফ্রিকান ইউনিয়নকে জানান, টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে তিনি একটি সরকার গঠন করবেন।

গুতেরেসের বক্তব্য ছিল, সুদানে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে সব ধরনের চেষ্টা করতে হবে। সেখানে কার্যকরি সরকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

আফ্রিকান ইউনিয়ন সেনা অভ্যুত্থানের পর সুদানকে বহিষ্কার করে। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আল-বুরহানের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কার্যকরি সরকার দ্রুত গঠন করার কথা বলেছেন। এই সরকারই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। ব্লিংকেনের অফিস থেকে বলা হয়, দুই পক্ষই গণতান্ত্রিক পথে থাকার বিষয়ে একমত হন। সরকার গঠনের কাজ দ্রুত করার ব্যাপারেও তারা একমত হয়েছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.