ই-কমার্সে অনিয়ম, তালিকা দিলো গোয়েন্দা সংস্থা  

অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের পৃথক পৃথক তালিকা মন্ত্রিপরিষদের গঠন করা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ১১ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ অতিরিক্ত সচিব।

তিনি বলেন, ই-কমার্স খাতের পুনর্গঠনে সাতটি বিষয়ে মেন্ডেট দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সমস্যা সমাধান ও উত্তরণের পথ বের করতে সুপারিশ করবে কমিটি। আমাদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন জমার জন্য।

গত ১৮ তারিখে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানিয়ে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ওই সভায় আমাদের সাতটি বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছিল। বিশেষ করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়ার জন্য। তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তালিকা পেয়েছি।

তিনি বলেন, এক সংস্থার কাছ থেকে ১৯টি, আরেক সংস্থার কাছ থেকে ১৭টি ও অপর এক সংস্থা থেকে ১৩টি নাম সম্বলিত তিনটি তালিকা পেয়েছি৷ আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এগুলো সমন্বয় করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে দেওয়া হবে। তারা তালিকা ধরে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের খোঁজ নেবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের হিসাব হাতে পাওয়া যাবে।

আগামী ৯ তারিখে আরেকটি সভা হবে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, সেই সভায় তিনটি তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর আর্থিক লেনদেনের হিসাব সহ তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১১ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তালিকা উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

যে অভিযুক্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে, তাদের টাকার পরিমাণ কেমন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার জন্যই তথ্য চাচ্ছি আমাদের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে। ১৯টি নয় তো, আরও আছে। আরও ১৭টি যে আছে, তার মধ্যে কমন আছে ৮টি। সেক্ষেত্রে সংখ্যাটি ১৯ এর বেশি হবে। তালিকা তিনটি সমন্বয়ের পর জাস্ট সিলগালা করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়ে দেব।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.