কারও ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না রওশন এরশাদ

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ভালো নেই। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এ রাজনীতিকের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে মধ্যে চোখ খুললেও কারও ডাকে তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তবে ক’দিন ধরে তার অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার হচ্ছে না।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ হাসপাতালে রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে বের হওয়ার সময় এসব তথ্য জানান।

কাজী মামনুর রশিদ বলেন, ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) কথা বলতে পারছেন না। তবে, আমাদের কথা শুনেছেন। আমাদের কথা শুনে উনি কাঁদলেন।

এদিন শাহতা জারাব এরিককে নিয়ে রওশন এরশাদকে দেখতে হাসপাতালে যান বিদিশা সিদ্দিক।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, আম্মুর ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমছে। আগের চেয়ে ভালো, তবে তিনি খুব ক্লান্ত। চোখ খুলছেন। বার্ধক্যের কারণে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ আগস্ট সিএমএইচে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা রওশন এরশাদের ফুসফুসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি পান। তখন তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কম ছিল। ওইদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা ৫০-৬০ থাকার কথা, সেখানে তার ছিল ২০০-এর বেশি।

তবে তার করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ আগস্ট তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় বেশ কিছুদিন তিনি আইসিইউতে ছিলেন। পরে আইসিইউ থেকে গত ২৫ আগস্ট তাকে সিএমএইচের অফিসার্স ফ্যামিলি ওয়ার্ডের ভিভিআইপি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি ঘটলে গত ২০ অক্টোবর আবার আইসিইউতে নেওয়া হয় ৭৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিককে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.