ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাগালে রাখল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলেরই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাই জয়ের বিকল্প নেই কারও। সেই লক্ষ্যেই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

প্রতিপক্ষের আমন্ত্রনে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের দেখে শুনে খেললেও তৃতীয় ওভারে এসে উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এভিন লুইস।

এর এক ওভার পর শেখ মাহেদির বলে বোল্ড হন গেইল। ৪ রান করেন এই ওপেনার। পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারানো দলটির স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ২৮ রান। সপ্তম ওভারে রস্টন চেজের ক্যাচ ছাড়লেও শেখ মেহেদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন শিমরন হেটমায়ার। ৯ রান করে আউট হন তিনি।

৩ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কাইরন পোলর্ড। চেজের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ৫০’র ওপর। তবে দলীয় ৬৩ রানে স্বেচ্ছায় অবসরে যান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। কিন্তু তাতেও বিপদ কাটেনি তাদের। পরের বলেই তাসকিনকে সোজা ড্রাইভ করেন চেজ। কিন্তু বোলারের পায়ে লেগে বল স্টাম্পে আঘাত হানে। কোন বল না খেলেই রান আউট হন আন্দ্রে রাসেল। এরপরের ওভারে চেজকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু মেহেদি ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি।

রাসেল ফেরার পর চেজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নিকোলাস পুরান। এই দুজনের ব্যাটে ১৭ ওভারে দলীয় ১০০ তে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা। এর আগের ওভারে সাকিবকে ২ ছক্কা হাঁকান পুরান। ১৮তম ওভারে মেহেদির বিপক্ষে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি।

ওভারের প্রথম ৩ বলে ২ ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওভার শেষে পোলার্ডবাহিনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৯ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে শরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন পুরান। ২২ বলে ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই চেজের স্টাম্প ভেঙে দেন এই তরুণ। ২ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে পরের বলে হোল্ডারকে আর আউট করতে পারেননি শরিফুল। যদিও পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট নেয়ার সুযোগ ছিল তার। তবে আফিফ হোসেন হোল্ডারের ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি।

শেষ ওভারের প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। তবে এরপরের ২ বলে জোড়া ছক্কা হাঁকান হোল্ডার। তাতে তাদের রান পৌঁছে যায় ১৩৫ এ। পঞ্চম বল পোলার্ড মিস করলে শেষ বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। এতে তাদের রান পৌঁছে যায় ১৪১ এ। শেষ ওভারে আসে ১৯ রান। শেষ ৩৬ বলে আসে ৭২ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.