বাবরদের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কারস্টেন

অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাকলাইন মুশতাকের অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে পাকিস্তান। মুশতাকের কোচিংয়ে আসরটিতে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে উড়ন্ত শুরু করেছে দলটি। এরপরও পূর্ণকালীন মেয়াদে কোচের আসনে বসাতে নতুন কাওকে খুঁজছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের পরবর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন গ্যারি কারস্টেন।

এছাড়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন সাইমন ক্যাটিচ ও পিটার মুরেজ। এর আগেও পাকিস্তানের কোচ হিসেবে জোরেশোরে শোনা গিয়েছিল মুরেজের নাম। তবে আন্তর্জাতিক কোচিং ক্যারিয়ারে ক্যাটিচ ও মুরেজের চাইতে বেশি সফল হওয়ায় কারস্টেনকে এগিয়ে রাখছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

২০১১ সালে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের প্রধান কোচের ভূমিকায় ছিলেন কারস্টেন। পরবর্তীতে দুই বছর দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলগুলোকে কোচিং করিয়েছেন সাবেক এই প্রোটিয়া ব্যাটার।

এদিকে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ক্যাটিচের। আর দুই দফায় ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মুরেজ। সদ্যই ইংলিশ কাউন্টির দল নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি বাড়িয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদ থেকে মিসবাহ-উল-হক সরে দাঁড়ানোয় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে মুশতাককে নিয়োগ দেয় পিসিবি। দায়িত্ব নিয়েই বাজিমাত করেন মুশতাক। তার কোচিংয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারায় পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে যা তাদের প্রথম জয়।

মুশতাকের হাত ধরে সফলতা ধরা দিলেও বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে চাইছেন পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজা। সে কারণে পূর্ণ মেয়াদের কোচ হিসেবে কারস্টেনকে রেখেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে কারস্টেনকে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.