আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩০

নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতরা হলেন- কাচারিকান্দি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে সাদির মিয়া (২২) ও একই গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে হিরন (৩৫)।

আহতরা হলেন- রমজান (১৮), মোকলেস (২২), আহিদ মিয়া (৪৩), জজ মিয়া (১৪) শামসুনাহার (৩৪), দানা মিয়া (৬০), আলামিন মিয়া (২০), নাজির (২১), নাজমা (২৪), দানিস মিয়া (২৪), মো. হক মিয়া (৫০)। এরা সবাই কাচারিকান্দি গ্রামের ছোট শাহ আলমের সমর্থক। এদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় জজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে শাহ আলম মেম্বার ও একই গ্রামের ছোট শাহ আলমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ছয়মাস আগে এ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ছোট শাহ আলম গ্রুপের ইয়াসিন ও শাহিন নামে দুজন নিহত হন।

এ ঘটনায় বড় শাহ আলম গ্রুপের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। এরই মধ্যে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য শাহ আলম মেম্বারের লোকজন গ্রামে ঢুকার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে শাহ আলম মেম্বারের গ্রুপের সদস্যরা টেঁটা বল্লম ও অস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকেন। ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালান।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছোট শাহ আলমের সমর্থকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালান। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছোট শাহ আলম গ্রুপের সাদির (২২) ও হিরন (৩৫) নামে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আটজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শাহ আলম মেম্বার ও তার সমর্থকরা ভোরে গ্রামে ফিরে আসেন এবং প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালান। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.