মালিক-আসিফের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান

ইনিংসের শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। এমন সময় টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনারের দুই ওভারে ২৮ রান তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দুজনের ব্যাটের ওপর ভর করে ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তাতে এবারের আসরে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বাবর আজমের দল।

জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন বাবর। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাউদির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১১ বলে ৯ রান করা পাকিস্তানের অধিনায়ক। থিতু হতে পারেননি তিনে নামা ফখর জামানও। ১৭ বলে ১১ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। চারে নামা মোহাম্মদ হাফিজও সুবিধা করতে পারেননি। স্যান্টনারের বলে ডেভন কনওয় দৌড়ে এসে উড়ন্ত ক্যাচ নিলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন সোধি। ৩৪ বলে ৩৩ রান করা রিজওয়ানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন এই কিউই লেগ স্পিনার। ইমাদ ওয়াসিম সুযোগ কাজে না পারলেও দারুণ জুটি গড়েন মালিক ও আসিফ। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দুজনের ৪৮ রানের জুটিতে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এদিন দলের বিপর্যয়ের মুখে মালিক ২০ বলে ২৬ এবং আসিফ করেছেন ১২ বলে অপরাজিত ২৭ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সোধি দুটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ড্যারিল মিচেল। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৩৬ রান। হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ১৭ রান করা গাপটিল ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। আরেক ওপেনার মিচেল ফেরেন ইনিংসের নবম ওভারে। ২০ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

চারে নেমে থিতু হতে পারেননি জিমি নিশাম। তবে থিতু হয়েও হাসান আলির দারুণ থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়ে ২৫ রান করা উইলিয়ামসনকে। শেষ দিকে কনওয়ে ২৭ এবং টিম সেইফার্ট করেছেন ১৩ রান। তাতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে হারিস চারটি উইকেট নিয়েছেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.