‘পুঁজিবাজার বিকাশে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব একটি বড় বাধা’

দেশের পুঁজিবাজার সাম্প্রতিক সময়ে অনেকদূর এগিয়েছে। তবে এখনো এই বাজার ইক্যুইটি নির্ভর। এই বাজারে ডেরিভেটিভসহ বিভিন্ন প্রোডাক্টের অভাব রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রোডাক্ট চালু করতে হবে। বিএসইসি বাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালুর লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হচ্ছে-যোগ্য ও দক্ষ জনবলের অভাব।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ কথা বলেছেন। সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ৬ষ্ঠ সিএফএ চার্টার্ড অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে নতুন ২৯ জন চার্টার্ডহোল্ডারের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট শাহীন ইকবাল ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম। সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ আরিফ খান, মিনহাজ জিয়া, মোঃ মনিরুজ্জামান এবং সোসাইটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের পুঁজিবাজার যে অবস্থানে থাকা উচিৎ, সেখানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে কমোডিটি মার্কেট, ডেরিভেটিভসসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালুর বিষয়ে কাজ করছে কমিশন। কমোডিটি মার্কেট চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেশে এই মার্কেট চালুর জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, কমিশন ৮০টি নতুন ট্রেক অনুমোদন করেছে। নতুন মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ নানা মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। শুধু আগামী এক বছরে পুঁজিবাজারে ৩ হাজার ২০০ যোগ্য জনবল প্রয়োজন। কিন্তু এই জনবল বর্তমানে নেই।

তিনি আরও বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে দক্ষ ও যোগ্য জনবলের ঘাটতি থাকায় সিএফএ চার্টার্ডহোল্ডারদের সামনে অসীম সম্ভাবনার হাতছানি রয়েছে। তারা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা এবং ফিনান্সিয়াল এ্যানালিস্ট হিসেবে পুঁজিবাজার ও ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

বিস্তারিত আসছে………………

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.