কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ইকবাল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল হোসেনকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে না এনে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।

কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান পুলিশ লাইন্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল হোসেনকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এর আগে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছিল, কক্সবাজারের এসপি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ভোর ৬টায় অভিযুক্ত ইকবালকে নিয়ে পুলিশের একটি টিম কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেয়। পুলিশ বহরের নেতৃত্ব দেন কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুইজন নিহত হন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবালকেও চিহ্নিত করে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.