বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা

শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও সেটা সামলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৭১ রানের বড় পুঁজি এনে দেন পাথুম নিশানকা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ার‌ল্যান্ড। মাঝের দিকে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আইরিশদের। এই জয়ে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিল শ্রীলঙ্কা।

জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালে হয়নি আয়ারল্যান্ডের। দলীয় ৩২ রানেই পল স্টার্লিং, কেভিন ও’ব্রায়েন এবং গ্যারেথ ডেলানিকে হারায় তারা। এরপর বালবির্নি ও কুর্টিস ক্যাম্ফার মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তাতে খানিকটা প্রতিরোধ হলেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তারা।

২৪ রান করা ক্যাম্ফার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাদের দুজনের ৪৩ রানের জুটি। দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন হ্যারি টেক্টর, নেইল রক ও মার্ক অ্যাডায়ার। অধিনায়ক বালবির্নি লড়াই করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না আইরিশদের জন্য। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪১ রান করে ফিরলে ১০১ রানে অল আউট আইরিশরা। লঙ্কানদের হয়ে মাহিশ থিকশানা নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। শূন্য রানে কুশল পেরেরা ফেরার পর দীনেশ চান্দিমাল ৬ ও রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর অবশ্য দারুণ জুটি গড়েন হাসারাঙ্গা ও নিশানকা। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর হাসারাঙ্গার ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ৪৭ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে। ছয়ে নামা ভানুকা রাজাপাকশে সাজঘরে ফেরেন ৩ বলে ১ রান করে। হাফ সেঞ্চুরি করা নিশানকা ৪৭ বলে ৬১ রান করে আউট হলেও শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার রান বাড়ান ২১ রান দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে লঙ্কানরা। আয়ারল্যান্ডের হয়ে জশুয়া লিটল ৪ উইকেট নিয়েছেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.