বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ মাঠে নামতে হচ্ছে লাল-সবুজদের। আরব আমিরাতের টিকিট কাটতে হলে প্রথমে ওমান ও পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। অথচ ওমানে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক রাউন্ড সহজেই টপকে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটারদের দীনতায় সেই পথটা এখন দুর্গম! নাহলে ওমানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সুপার-১২ নিশ্চিতের! সেটিতো হয়নি, উল্টো এই ম্যাচটি জিতলেও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে।

কেননা পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে, ওমানের বিপক্ষে স্কটল্যান্ড হারলে আর পাপুয়া নিউগিনি সব ম্যাচ হেরে গেলে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকেই কোয়ালিফাই করতে হবে বাংলাদেশকে। জটিল সব সমীকরণ যখন মাথায়, তখন স্বাভাবিক খেলাটা খেলাও বেশ কঠিন।

তারপরও স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে নিজেদের সহজাত খেলাটাই খেলতে হবে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও ক্রিকেটারদের ধীরগতির ব্যাটিং কোনওভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। ওমানের বিপক্ষেও যদি ব্যাটাররা আগের ম্যাচের ভুলগুলো করে, তাহলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হবে। স্বাগতিক হয়েও আইসিসির ইভেন্ট বলে হয়তো বাড়তি সুবিধা নিতে পারবে না ওমান।

কিন্তু সারাবছর ধরে এই মাঠে খেলেই অভ্যস্ত তারা। সেজন্য এই মাঠ হাতের তালুর মতোই তাদের চেনা। উদ্বোধনী দিনে পাপুয়া নিউ গিনিকে যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। তাতে করে শঙ্কার কালো মেঘ জমছেই! তবে সব শঙ্কা-ভয় উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। হেরে গেলে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের কালো অধ্যায় রচিত হবে। এমন সমীকরণ সামনে রেখেই মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামছে মুশফিক-সাকিবরা। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টসে।

অতীতে দুই দলের একবারই দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার বাছাই পর্বে ওমানকে বৃষ্টি আইনে ৫৪ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৬৩ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে এটিই একমাত্র সেঞ্চুরি। এবার সেই ওমানই সামনে। দলের ব্যাটারদের সামনে সুযোগ তামিমকে অনুসরণ করার। যদিও কাজটা মোটেও সহজ হবে না। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে স্বাগতিকরা। এমন আত্মবিশ্বাসী দলের সামনে স্কটিশদের কাছে হোঁচট খেয়ে মনোবল হারানো বাংলাদেশের লড়াইটা কেমন হয় সেটাই এখন দেখার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.