রেজিস্টার্ড গেটওয়েতেই করতে হবে ই-কমার্সের পেমেন্ট

ই-কমার্সের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে রেজিস্টার্ড গেটওয়েতেই পেমেন্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে ই-কমার্স নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ই-কমার্স সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো রয়েছে সেসব বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মিটিং করে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে কমার্স মিনিস্ট্রির অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে। এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিয়ে দেবে। আজ বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব দুজনেই বলেছেন তারা অনেক প্রগ্রেস (অগ্রগতি) করে ফেলেছে এবং আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছি, সব ইন্টেলিজেন্স, এফআইউ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনটিএমএসি সবাইকে নিয়ে। দুই/আড়াই মাস কিন্তু একটা কন্ট্রোলের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো কিন্তু তার আগের। গত দেড়/দুই মাসে কেউ কিন্তু আর ভার্চুয়ালি করছে না।

ই-কমার্সে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি দুইটি মিটিং করে ফেলেছে। প্রিসাইজলি একটি সিদ্ধান্ত আসবে। ধরেন অফার দিল পাঁচ লাখ টাকার জিনিস আড়াই লাখ টাকায় দেবে, আপনি টাকা দিলেন, সেখানে কী অ্যাকশনে যাবেন? সে যদি রিজস্টার্ড না হয়? সুতরাং পেমেন্ট গেটওয়েগুলো সুপারভিশন করার ম্যাকানিজম হচ্ছে, যাতে রেজিস্টার্ড গেটওয়েতে পেমেন্ট করা হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজ এটাও সিদ্ধান্ত হয়েছে- এ জাতীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে একটা রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মধ্যে এনে তাদের মনিটরিং করতে হবে। এবং সে প্রসিডিউরগুলোও মোটামুটি আলোচনা হয়েছে যে কীভাবে করা হবে। পাশাপাশি জনগণকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে যে আপনি কী জাতীয় প্রস্তাবে সারা দিচ্ছেন। আমার মোবাইলে অফার দিচ্ছে পাঁচ লাখ টাকার মোটরবাইক আড়াই লাখ টাকায় দেওয়া হবে। আমি শুনেই ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং আড়াই লাখ টাকা জমা দিয়ে দেবো? আমার নিজেরওতো একটা বিচার বিবেচনা থাকা দরকার যে পাঁচ লাখ টাকার জিনিস কীভাবে আমাকে আড়াই লাখ টাকায় দেবে। সুতরাং জনগণকেও এটা একটু সচেতন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স তো বন্ধ করা যাবে না। সুতরাং তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন ও মনিটরিংয়ের আন্ডারে আনার ব্যবস্থা করে ফেলেছি, কীভাবে মনিটর এবং রেজিস্টার করা যাবে। এ বিষয় নিয়ে অলরেডি কাজ করছে এবং গত বেশকিছুদিন ধরে কাজ করছি। আশা করছি দেড় দুই মাসের মধ্যে ভালো একটা ডেভলপমেন্ট আসবে।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.