বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে হাওরে হবে এক হাজার কংক্রিটের ছাউনি

বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি এবার ‘লাইটনিং অ্যারেস্টার’ যুক্ত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে হাওরাঞ্চলে এক হাজার ছাউনি নির্মাণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত জাতীয় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ কথা জানান।

দেশের হাওরাঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় ছাউনি নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে (পাইলট প্রকল্প) হাওর এলাকায় এক কিলোমিটার পরপর এক হাজার বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ছাউনির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর নির্মাণ করা হবে একেকটি শেল্টার, যাতে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেন। প্রতিটি শেল্টারে লাইটনিং অ্যারেস্টার বসানো হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমরা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এর একটি হলো আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম, অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। দ্বিতীয়ত হলো, বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং তৃতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানো।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও এনামুল হক বক্তব্য দেন। এছাড়া সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক কবিরুল বাশার এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.