রেইনট্রিতে ধর্ষণ: সাফাতসহ ৫ জনের রায় আজ

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির রায় আজ।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর মামলাটির উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। সাফাত ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

২২ আগস্ট একই আদালতে আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

২০১৭ সালের ৬ মে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই বছর ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দু’জনকে আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তাদের বলা হয়েছিল, বড় একটি অনুষ্ঠান হবে; অনেক লোকজন থাকবে। ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের দু’জনকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনও লোকজন দেখতে পাননি। কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। তাকে মারধর করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধরও করেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.