বিশাল জয়ে ওমানে প্রস্তুতি সারলো বাংলাদেশ

ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৬০ রানের বিশাল জয় দিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করলো বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল টাইগাররা। জবাবে ১৪৭ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।

বাংলাদেশের দেয়া ২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ওমান ‘এ’ দল। দলীয় ৩২ রানের মধ্যেই তারা টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায়। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওমানের ওপেনার অক্ষয় প্যাটেলকে (০) নিজের শিকার বানান নাসুম আহমেদ।

পরের ওভারে মেহেদী হাসান তুলে নেন ১ রান করা প্রুথভিকুমার মাচির উইকেট। খালিদ কালিকে বেশিদূর এগোতে দেননি শরিফুল ইসলাম। এই বিপর্যয় থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। বল হাতে দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন আফিফ হোসেনও। তিনি ওমান ‘এ’ দলের অধিনায়ক আমির কালিমের (৭) উইকেট নিয়েছেন।

এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শোয়েব খান ৪৩ রান করে রান আউট হয়েছেন। খুররাম নাওয়াজ ১১ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়েছেন। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকা মেহরান খান ১০ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হন।

শেষদিকে ওমানের ইনিংস একাই টানছিলেন রউফ আব্দুল্লাহ। ১৪ বলে ১৯ রান করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে নাসুমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। ইনিংসের শেষ বলে ওমানের ব্যাটসম্যান রাফিউল্লাহকে ব্যক্তিগত ৩১ রানে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’তে লিটন দাস এবং নাঈম শেখের জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৪৯ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও রানের চাকা সচল রাখে এই জুটি।

ওমানের বোলারদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পরের ৪ ওভারে আরও ৪০ রান স্কোরবোর্ডে তোলে এই জুটি। ১০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৮৯ রান। সেখান থেকে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন।

এরপরের বলেই সময় শ্রীবাস্তবকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৫৩ রানে ফেরেন তিনি। এরপর তিনে নেমে ইনিংস লম্ব করতে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। একই বোলারের বিপক্ষে ৮ বলে ৮ রান করে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। খানিক পর ৪ এ নামা মুশফিকুর রহিম আলিম করিমকে স্কুপ করতে গিয়ে ফেরেন প্রথম বলেই।

মুশফিকের পর ক্রিজে নেমে আফিফ প্রথম বলে ছক্কা মারলেও দ্বিতীয় বলেও বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে ২ বলে ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে অবশ্য নাঈমও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে ৫৩ বলে ৬৩ রান করে অবসরে যান এই ওপেনার।

নাঈম ফিরলেও ওপরপ্রান্তে থাকা নুরল হাসান সোহান ঝড় তোলেন। ১৯তম ওভারের প্রথম ৩ বলে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। তাকে শামীম হোসেনও দারুণ সঙ্গ দেন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে দলীয় ২০০’র পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতিও। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় দ্বিশতক পূরণ করেন নুরুল। শেষ বলেও ছক্কা হাঁকান এই উইকেটরক্ষক। তার ১৫ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ২০৭ রান স্কোরবোর্ডে তোলে বাংলাদেশ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.