দেশে প্রতি লাখে ৯৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত

বাংলাদেশে প্রতি লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৯৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (৬ অক্টোবর) করোনাবিষয়ক অনলাইন বুলেটিনে এ কথা জানান অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৫ লাখের চেয়ে কিছু বেশি মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে ৩ কোটির বেশি, ইন্দোনেশিয়াতে ৪২ লাখেরও বেশি, থাইল্যান্ডে ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে প্রতি এক লাখ জনগোষ্ঠীর বিপরীতে ভারতে দুই হাজার ৪৫৩ জন, ইন্দোনেশিয়াতে এক হাজার ৫৪৩ জন, থাইল্যান্ডে দুই হাজার ৩৭৪ জন, নেপালে দুই হাজার ১৪৭ জন, শ্রীলংকাতে দুই হাজার ৪৩৪ জন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর বাংলাদেশে প্রতি লাখের বিপরীতে ৯৪৬ জন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন।

গত এক সপ্তাহে ভারতে এক হাজার ১৮৭ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ৬২৯ জন, থাইল্যান্ডে ৭০৫ জন আর বাংলাদেশে ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৭২ হাজার ৪৮১টি করোনার নমুনা পরীক্ষা আমরা করতে পেরেছি। যা আগের সাত দিনের তুলনায় প্রায় পাঁচ শতাংশের মতো কম। গত সাতদিনে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৯৫ জন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ কম।

গত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় মৃত্যু ১৯ শতাংশ কমে এসেছে বলেও জানান তিনি।

নাজমুল ইসলাম বলেন, “সামগ্রিকভাবে গত সাত দিনে আমরা দেখেছি, সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি ছিল, যেটা নিয়ে আমরা বছরের মাঝামাঝি সময়ে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ছিলাম, সেটা পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং গতকাল (৫ অক্টোবর) শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ৭২ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে যে ৩০ দিনের সংক্রমণের চিত্র গত দুই সপ্তাহ ধরে ‑ এটা ক্রমাগত নিম্নগামী। নিম্নমুখী এই প্রবণতা অব্যাহত থাকুক-এটাই আমাদের সকলের এই মুহূর্তে করণীয়”।

জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে তিনি জানান, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ঢাকা জেলায়। পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন, চট্টগ্রাম জেলায় ৯৯ হাজার ১০২ জন আর শীর্ষ ১০ জেলায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছেন নোয়াখালী জেলায়। এ জেলায় ২২ হাজার ৮৯০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে দেশের আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকায় ১৩ জন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার জন্য পাঁচ কোটির বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন আর পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন ছয় লাখের বেশি মানুষ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.