বাজারে প্রতিনিয়তই কমছে চালের দাম: খাদ্যমন্ত্রী

এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে এবং দেশে বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, বোরোর ভালো ফলন এবং বিদেশ থেকে চাল আমদানির কারণে বাজারে প্রতিনিয়তই কমছে চালের দাম। এই অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন জনবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

আজ রোববার (০৩ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বগুড়ার সান্তাহার সিএসডির উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সারাদেশে খাদ্য মজুদের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানসম্মত সিএসডি ও সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব গুদামগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে আধুনিকমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোতে গেস্ট হাউজ এবং কনফারেন্স রুম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই। দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রির ব্যবস্থা চালু রয়েছে। টিআর এবং কাবিখা কর্মসূচি যথাযথভাবে চলমান রয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চাল সরবরাহের সময় খাদ্যগুদামের নাম, তারিখ এবং কোন খাতে এটা স্পষ্ট স্টেনসিলের মাধ্যমে অমোচনীয় কালি দ্বারা লিখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মাঠ পর্যায়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ওসিএলএসডিসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ জন্য মন্ত্রী তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও মেরামত প্রকল্পের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, রাজশাহীর বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলী, আদমদিঘী উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.