মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক দুজনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ রোববার (০৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে ১১টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় আটক আসামি মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহকে আদালতে তোলা হয়।

কক্সবাজার কোর্ট পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার দুই আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।

এরই মধ্যে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম, জিয়াউর রহমান, আব্দুস সালাম ও শওকত উল্লাহ। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গত শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিমকে এবং দিবাগত রাতে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে আটক করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। অপর দিকে, শওকত উল্লাহকে গতকাল শনিবার বিকেলে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে রোহিঙ্গানেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তার ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।

গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুহিবুল্লাহকে তার নিজ কার্যালয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যেরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

রোহিঙ্গানেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএনের টহল বাড়ানো হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.