মেট্রোরেলের ১২ ইঞ্জিন-বগি মোংলায় পৌঁছেছে

মেট্টোরেলের আরো ৪টি ইঞ্জিন ও ৮টি কোচ এসে পৌঁছেছে মোংলা বন্দরে। ১৫ দিন আগে জাপানের কোবে বন্দর থেকে এ ইঞ্জিন ও কোচ নিয়ে ছেড়ে আসা বিদেশি জাহাজ এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। পরে জাহাজটিতে বন্দর, কাস্টমস ও এজেন্টের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সম্পন্নের পর শুরু হয় ইঞ্জিন ও কোচ খালাসের কাজ। জাহাজ থেকে ইঞ্জিন ও কোচ নামিয়ে রাখা হচ্ছে পরিবহন বার্জে (নৌযানে)। এ বার্জে করেই নদীপথে মেট্রোরেলের এই ইঞ্জিন ও কোচ নেয়া হবে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ী ডিপোতে।

বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ৫ম দফায় জাপানের কোবে বন্দর থেকে এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক জাহাজে শনিবার ৪টি ইঞ্জিন ও ৮টি কোচ এসেছে। এগুলো খালাস শেষে নদীপথে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে পাঠানো হবে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ১০২টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, সর্বপ্রথম গত ৩১ মার্চ এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক জাহাজে মেট্টোরেলের ৬টি কোচ আসে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই ইঞ্জিন ও কোচ আসছে এ বন্দর দিয়ে। গত ৫ মে এম,ভি ওশান গ্রেস জাহাজে ৬টি বগি, ২০ জুলাই এম,ভি হরিজন-০৯ জাহাজে ১০টি বগি ও ২টি ইঞ্জিন, ১২ সেপ্টেম্বর ৪টি বগি ও ২টি ইঞ্জিন নিয়ে এম,ভি প্রেসার্স কোরাল মোংলা বন্দরে ভিড়ে। আর শনিবার এম,ভি এসপিএম ব্যাংকক ভিড়েছে ৪টি ইঞ্জিন ও ৮টি কোচ নিয়ে।

এর আগে চারটি বিদেশি জাহাজে করে সর্বমোট ৩৪ টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত স্বপ্নের মেট্রোরেলের বাস্তব পরীক্ষামূলক চলাচল হয়।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন-৬ নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.