রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা হত্যার বিচারের দাবি পশ্চিমা কূটনীতিকদের

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিকরা মুহিবুল্লার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে গেরার্ড ভেন লিউইন টুইটারে দেওয়া পৃথক বার্তায় মুহিবুল্লা হত্যার বিচারের দাবি করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার টুইটে লিখেছেন, রোহিঙ্গা নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মহিবুল্লাহ হত্যা একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা আশা করি, যারা তার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে কর্তৃপক্ষ সফল হবে।

মুহিবুল্লাকে মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার লিখেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের একজন সাহসী চ্যাম্পিয়ন মহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত ও ব্যথিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আশা করি, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিউইন টুইটে লিখেছেন, রোহিঙ্গা নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মর্মাহত ও ব্যথিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

ইইউ-র ঢাকা কার্যালয় টুইটে লিখেছে, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে ইইউ মর্মাহত ও শোকাহত। এ হত্যাকাণ্ড তার পরিবার, বন্ধু ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য একটি মর্মান্তিক ক্ষতি। আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন হাইকমিশন তাদের টুইটে লিখেছে, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমরা তার পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

এদিকে, মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনার বিচার দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রোহিঙ্গা শিবিরে শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা। বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহও।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.