ভল্ট থেকে টাকা উধাও, ইউনিয়ন ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

বেসরকারি খাতের ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে ব্যাংকটি। পাশাপাশি তিন থেকে পাঁচজন সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাখ্যা চেয়েছে তাদের কাছে।

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ভেদ করে ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনা তোলপাড় তৈরি করেছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এমন তথ্য উদঘাটন করে।

জানা যায়, কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে ছিল ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো জবাব দিতে পারেনি। এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা তৎপরতা শুরু করে শাখা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ব্যাংকটির ডিএমডি হাসান ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকিং আওয়ারের পর এক ভিভিআইপি গ্রাহক আসেন। তাকে ভল্টের ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল, পরে সেই টাকা সমন্বয় করা হয়। এই ঘটনায় গুলশান শাখার তিনজনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তিনজনের কাছে চাবি থাকে। এই ঘটনায় তিন থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই পরদিন (সোমবার) ১৯ কোটি টাকার হিসাব সমন্বয় করা হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, একজন ভিআইপি গ্রাহক ব্যাংকিং আওয়ারের পর গেলে তার লেনদেন করতে ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। পরের দিন সেই টাকা সমন্বয় করে ব্যাংকটি। তবে তাদের সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং না থাকার পরও ব্যাংক আওয়ার পর লেনদেন আইন-বহির্ভূত। এ বিষয়ে আমরা তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি। পরে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.