বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে

চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্বকাল। বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আগামি অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায়, পাপনের দায়িত্ব শেষ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আয়োজন করা হবে নির্বাচন।

আসন্ন নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যেই তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি। আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে পরদিন, ৭ অক্টোবর।

নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আইসিএবি’র (ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেনকে। এই নির্বাচনের জন্য বিসিবি মনোনয়নপত্র বিক্রি করবে আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র পূরণ করে বিসিবির নিকট জমা দেয়ার শেষদিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর।

এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে এটাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা নয়। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর আপিল গ্রহণ এবং শুনানি চলবে। ৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগও রাখছে বিসিবি। একইদিন দুপুরে প্রকাশ করা হবে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা। এরপর ৬ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বোর্ড রুমে চলবে ভোটগ্রহণ। সেদিনই ভোট গণনা করে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে এর পরদিনই।

উক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী চার বছরের জন্য নির্বাচিত করা হবে ২৩ জন বোর্ড পরিচালক। তারা নির্বাচিত হবেন ১৭৪ জন কাউন্সিলরের ভোটে। গত মঙ্গলবার সাধারণ সভার পর বিসিবি নির্বাচনের ১৭৪ জন কাউন্সিলরের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.