পরীক্ষায় অনিয়ম: স্বাস্থ্যের ২৮৩৯ জনের নিয়োগ বাতিল

করোনকালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে প্রায় তিন হাজার কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয় গত মার্চে। লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষাও শেষ করা হয় দ্রুততার সঙ্গে। কিন্তু তখনই বিশাল এই নিয়োগে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্ত শেষে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় এই তিন পদের দুই হাজার ৮৩৯ জনের নিয়োগ বাতিল করল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব আনজুমান আরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে একথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি থেকে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধিদফতরের আওতাধীন ওই তিন পদে জনবল নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেহেতু তদন্ত প্রতিবেদনে লিখিত পরীক্ষার খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ রয়েছে, সেহেতু নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলপূর্বক অল্পসময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে দ্রুত পুনরায় নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। ইতোপূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই। তারা নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী গত বছরের ২৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদফতর মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ৮৮৯টি পদ, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের ১ হাজার ৮০০টি পদ এবং কার্ডিওগ্রাফার পদে ১৫০ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে ২৩ হাজার ৫২২ ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রায় ৫০ হাজার জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়। গত ১২, ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ও ১০ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষাও নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর পরীক্ষায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ আসলে অভিযোগ তদন্তে গত ১৩ এপ্রিল গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.