রায় শুনে মালেক বললেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’

অস্ত্র আইনের মামলায় পৃথক দুই ধারায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে আব্দুল মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে যখন আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমার কাছ থেকে কিছুই পাইনি। সব সাক্ষী মিথ্যা। আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পায়নি।’

গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলাটি ঢাকার এক নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার অবশিষ্ট অংশ বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়। গত ১১ মার্চ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব-১-এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

গত ১১ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ১৩ জনকে সাক্ষী করে মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ৪ এপ্রিল মালেকের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন আদালত

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.