রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কমনওয়েলথের সহায়তা প্রত্যাশা

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ফেরাতে কমনওয়েলথ নেতাদের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে কমনওয়েলথের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বৃদ্ধি, টিকা সহায়তা ও জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, কমনওয়েলথ নেতারা বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। নেতারা বলেন, বাংলাদেশ এভাবে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২১তম কমনওয়েলথ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে তারা এই মন্তব্য করেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাস সভাপতিত্ব করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং কমনওয়েলথ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।

আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং ভাসানচরে তাদের আংশিক স্থানান্তরের বিষয়ে বর্তমান অচলাবস্থা তুলে ধরেন। তিনি কমনওয়েলথকে মিয়ানমার সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে সাহায্য করার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ নেতাদের জলবায়ু ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ারম্যান হিসেবে গৃহীত উদ্যোগের কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ ও সিভিএফের মধ্যে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান।

ড. মোমেন কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোকে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আগের চেয়ে বেশি একসঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান, যা কোভিড মহামারির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। তিনি মহামারি-পরবর্তী কমনওয়েলথকে আরও স্থিতিস্থাপক, সবুজ ও টেকসই পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য কমনওয়েলথ সংহতি, সংযোগ ও সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রদর্শন করার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে জানান, কমনওয়েলথ ব্যবসা থেকে ব্যবসায় সংযোগ ক্লাস্টারের প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি কারিগরিচালিত কম কার্বন ব্যবসা পুনরুদ্ধারের মডেল এবং একটি কমনওয়েলথ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস তৈরির জন্য কমনওয়েলথ বেসরকারি খাতগুলোকে সংযুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.