অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

৯২টি ছাড়া অননুমোদিত ও অনিবন্ধিত সব নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটে সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু বলেন, আমরা নিবন্ধিত ৯২টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা আদালতে দিয়েছি। এর বাইরে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় থাকা নিউজ পোর্টালগুলোর বিষয়ে বিবাদীরা আদালতকে জানাবেন।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

ওইদিন এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছিলেন আদালত।

গত ৫ মে সংবেদনশীল সংবাদসহ যেকোনও খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়। তবে সে নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু।

রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ২১ বছরের এক মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে অগ্রহণযোগ্যভাবে নিউজ পরিবেশন করা হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ পরিবেশনা বন্ধে বিটিআরসি কিংবা প্রেস কাউন্সিল কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

‘এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো চালু থাকার পরও বিটিআরসি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এসব পোর্টালের রেজিস্ট্রেশনও জরুরি।’

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ‘ন্যাশনাল অনলাইন মাস মিডিয়া পলিসি-২০১৭’ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত ও অরেজিস্ট্রিকৃত অনলাইন মিডিয়াগুলো কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.