‘করোনা পরিস্থিতিতেও অর্থনীতির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে’

করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র বিদেশি উদ্যোক্তারাই নন, বরং বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।’

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার এ তথ্য জানায়।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ বাংলাদেশে এখন যে কোনও সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ভালো।’ তাই বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এ বিষয়টিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া সাত দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল বাণিজ্য সম্মেলন ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের কারণে বিশ্বে যখন কোনও সম্মেলন সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে হচ্ছে না, তখন বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে এতগুলো দেশের মাঝে ভার্চুয়ালি তুলে ধরার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’

বাণিজ্য সম্মেলনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করতে যাচ্ছে।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার যৌথভাবে সাত দিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৬ অক্টোবর সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘আগামীর অর্থনীতির সঙ্গে সংযোগ’, অথবা ‘কানেক্টিং দি ইকোনমি অব টুমরো’।

বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি আকর্ষণীয় ও লাভজনক বিনিয়োগের স্থান হিসেবে তুলে ধরতে এবং বিভিন্ন বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশীয় ও বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সম্মেলটি আয়োজন করা হচ্ছে। বিশেষত ৯টি প্রধান সম্ভাবনাময় খাত যেমন— অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, অটোমোটিভ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাট ও বস্ত্র, এফএমসিজি এবং রিটেইল ব্যবসাগুলোর বিদ্যমান সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে আলোচিত হবে। বিশ্বের ৫টি বৃহৎ অঞ্চল যেমন- আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক এবং আফ্রিকার ৫০টিরও অধিক দেশ থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান  ‘বিজনেস টু বিজনেস’ সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ৭টি বিষয়ভিত্তিক ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হবে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা, মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, অ্যাকাডেমিশিয়ান অংশগ্রহণ করবেন। দেশি- বিদেশি প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে ১৬০টিরও অধিক বিটুবি সেশনের আয়োজন থাকবে এ সম্মেলনে।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘কোভিড অতিমারির সময়েও বাংলাদেশ ২০২১ অর্থবছরে ৫.৪৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে ও পরিবর্তিত ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন নীতি সংস্কার এবং কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওপর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.