১৬ হাসপাতালের ২৮ যন্ত্র বাক্সবন্দি: তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র অকেজো থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, হাসপাতালগুলোর পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে এ সংক্রান্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে দীর্ঘদিন ধরে এসব যন্ত্রপাতি এভাবে পড়ে থাকায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন, এসব হাসপাতালে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র পড়ে আছে। পড়ে থেকে কোনও কোনও যন্ত্র ইতোমধ্যে নষ্টও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বলছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। আবার কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।

গত ২৪ আগস্টে ‘১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবদেন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৬ আগস্ট জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন মনোজ কুমার ভৌমিক।

দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে আছে ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, একটি ইসিজি, একটি ল্যাপারোস্কপি, একটি কালচার ইনকিউবেটর, একটি হট এয়ার ওভেন ও একটি অটোক্লেভ মেশিন। ১৬ আগস্ট পর্যন্ত যন্ত্রগুলো এই অবস্থায় ছিল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.