৪২তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

৪২তম বিসিএসের (বিশেষ) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিসিএসের মাধ্যমে প্রথমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও পরে পদের সংখ্যা বাড়িয়ে চার হাজার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (0৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৬টায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এই ফল প্রকাশ করে।

দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয় পিএসসি। এ বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (লিখিত টাইপ) অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয় ৬ হাজার ২২ জন।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথমে ৪২তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা থাকলেও সরকারের বিশেষ ক্ষমতায় এখান থেকে আরও দুই হাজার অর্থাৎ মোট চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারের ইচ্ছা দ্রুত সময়ে এ চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের পদায়ন করা। এ বিষয়েও সরকারের বিভিন্ন দফতর কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে করোনার সময় দফায় দফায় পেছানো হয় ৪২তম বিসিএসের ভাইভা। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও করোনার সময় বিশেষভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে কাজ করে পিএসসি। এসময় জরুরি অবস্থাতেও সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কাজ করে পিএসসি।

গত মে পিএসসি জানায়, ৪২তম বিসিএস বিশেষ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) উত্তীর্ণদের মধ্যে ছয় হাজার ২২ জনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ মে। আর ৩০ জুন পর্যন্ত ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে ১৮ মে বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধের কারণে ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ জানানোর কথা বলা হয়েছিল সেসময়।

পরে ৬ জুন শুরু থেকে আবার ভাইভা শুরু করে পিএসসি। এ পরীক্ষা ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেই ভাইভা আরও কয়েক দফায় স্থগিত করে ১৩ আগস্ট শুরু করা হয়।

করোনার প্রেক্ষাপটে দুই হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে গত বছর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় (লিখিত টাইপ) ৩১ হাজার চিকিৎসক অংশ নেন। পরীক্ষার এক মাস পর ২৯ মার্চ এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ছয় হাজার ২২ জন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.