অবশেষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা

সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর গত ১৮ মাসে চারটি সিরিজ খেললেও নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি তাঁরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতলেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ জেতা হয়নি লঙ্কানদের। সিরিজ হারের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জেতার বিকল্প ছিল না শ্রীলঙ্কার।

এদিন শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও চারিথ আসালঙ্কা, দুশমন্থ চামিরা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার কল্যাণে ২০৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। সিরিজ জিততে বাকি কাজটা সারেন মাহেশ থিকশানা, চামিরা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৫ রানে গুটিয়ে গেলে ৭৮ রানের জয় তুলে নেয় দাসুন শানাকার দল। তাতে প্রোটিয়াদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ১৮ মাস পর সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা।

জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন অ্যাইডেন মার্করাম। তিনে নামা রেজা হেনড্রিকসও সাজঘরে ফিরেছেন পরের ওভারেই। প্রোটিয়াদের ব্যর্থতার পাল্লা ভারি করে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।

তাতে মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে নামা ইয়ানেমান মালান খানিকটা চেষ্টা করলেও সেটা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন মাত্র ১৮ রান করে। শ্রীলঙ্কার বোলিং তোপে আর সেভাবে ঘুরেই দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। হেনরিক ক্লাসেন ২২ রান করে আউট হলে আরও সিরিজ জেতার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয় প্রোটিয়াদের।

শেষ দিকে অ্যান্ডিলে ফ্লেকুউ ১৭, জর্জ লিন্ডে ১৮ এবং কেশভ মহারাজ ১৫ রান করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৫ রানে গুটিয়ে গেলে ৭৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মহারাজের দলকে। শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষিক্ত মাহেশ চারটি, হাসারাঙ্গা ও চামিরা নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের হয়ে আসালঙ্কা ৪৭, ডি সিলভা ৩১ ও চামিরা ২৯ রান করেছেন। প্রোটিয়াদের হয়ে মহারাজ তিনটি, লিন্ডে ও শামসি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.