অনুমোদনহীন কুরিয়ার সেবা ব্যবহার না করার নির্দেশ

অনুমোদনহীন কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো ধরনের ডাক আদান-প্রদান করতে পারবে না ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর ফলে নথিপত্র বিতরণ ও গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন কুরিয়ার সেবা প্রতিষ্ঠানের বৈধতা যাচাই করে সেবা নিতে হবে।

মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। সব আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্য পোস্টাল অফিস অ্যাক্ট-১৮৯৮ এর মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস বিধিমালা, ২০১৩’র নির্দেশনা অনুযায়ী, লাইসেন্সবিহীন মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডাকদ্রব্য গ্রহণ, পরিবহন ও বিলি বিতরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও বিভিন্ন আর্থিকপ্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডাক আদান-প্রদান করছে। এখন থেকে লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডাক আদান-প্রদান করা যাবে না।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ৩০ জুন ব্যাংকগুলোকেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা করতে হলে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স বা নিবন্ধন নিতে হয়। এখন পর্যন্ত লাইসেন্স নিয়েছে ৭২টি প্রতিষ্ঠান। তবে এই ব্যবসা করছে আরও অনেক বেশি প্রতিষ্ঠান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.