শুরা বৈঠক চলছে, কে হচ্ছেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক

উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎতম কওমি মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা। যা হাটহাজারী মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত। এই মাদ্রাসা থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে সৃষ্টি হয় আলোচিত ইসলামী সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’।

১৯৮৬ সাল থেকে একটানা ৩৪ বছর হাটাহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শফী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার পর এই মাদ্রাসায় নতুন করে কাউকে আর মহাপরিচালক করা হয়নি। তবে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মাদরাসার অর্থ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে মহাপরিচালক (মুহতামিম), সহযোগী ও সহকারী মহাপরিচালক (নায়েবে মুহতামিম) ও শিক্ষা পরিচালক (শায়খুল হাদিস) নির্বাচন করা হবে।

হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মাদরাসা শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈঠকে শুরা কমিটির ১১ জন সদস্য উপস্থিত আছেন। আজ মাদরাসা পরিচালনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

এদিকে হেফাজতে ইসলামের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর পরবর্তী মহাপরিচালক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মাদ্রাসার পাঁচ সিনিয়র শিক্ষক। তাঁরা হলেন- মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির তিন সদস্য মাওলানা আব্দুস ছালাম চাটগাঁমী, আল্লামা শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহিয়া। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন মুফতি জসিম উদ্দিন এবং মাওলানা শোয়েবও।

এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর মাদরাসাটির প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দাফনের দিন সবশেষ শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে মহাপরিচালক নির্বাচনের পরিবর্তে তিন শিক্ষকের একটি প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। ওই তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বছর ধরে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়েছে। এ সময়ে মাদরাসাটি অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনায় আবার নতুন করে সংকট দেখা দেয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.